পেট্রোল-ডিজেলের পর কেরোসিনের সেঞ্চুরি পার

একেই পেট্রোল-ডিজেলে রক্ষে নেই, ‘গোদের উপর বিষ ফোঁড়া’ গরিবের কেরোসিন। নীলাভ তরলের দামবৃদ্ধির ফলে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। বিগত সাত মাসে ৫৩ টাকার বেশি বাড়ল কেরোসিনের দাম।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে যে দাম ছিল লিটারে ৪৮ টাকা ৫৫ পয়সা। জুলাইয়ে সেই দাম বেড়ে দাঁড়াল ১০১ টাকা ৫৮ পয়সা। অনেকে বলছেন, একেই বোধহয় বলে সাঁড়াশি আক্রমণ। সমাজের একটা বড় অংশের মানুষের অনেকেরই প্রধান জ্বালানি কেরোসিন। এছাড়া, রান্নার গ্যাসের দাম হাজার ছড়িয়ে যাওয়ায় অনেকেই ফের কেরোসিন ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছেন।

কিন্তু সাধারণের চিন্তা বাড়িয়ে তখনই গোকূলে একটু একটু করে বেড়ে উঠছে কেরোসিন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে কেরোসিন থেকে কেন্দ্রীয় ভর্তুকি উঠে যাওয়ার পর, নীলাভ তরলের দাম কখনও চড়েছে, কখনও পড়েছে। তবে ২০২২-এর জানুয়ারির পর থেকে গ্রাফ শুধুই উঠেছে।

কেরোসিনের সেঞ্চুরি পার

এপ্রিল ২০২০ ২৭ টাকা ৫৮ পয়সা

মে ২০২০ ১৫ টাকা ৭৩ পয়সা

জুন ২০২০ ২৫ টাকা

জানুয়ারি ২০২২ ৪৮ টাকা ৫৫ পয়সা

ফেব্রুয়ারি ২০২২ ৫৪ টাকা ৩৭ পয়সা

ফেব্রুয়ারি ২০২২ ৫৭ টাকা ০৯ পয়সা

মার্চ ২০২২ ৬৪ টাকা ২৪ পয়সা

এপ্রিল ২০২২ ৭৯ টাকা ৬২ পয়সা

মে ২০২২ ৮২ টাকা ৫৪ পয়সা

জুন ২০২২ ৮৭ টাকা ২১ পয়সা

জুলাই ২০২২ ১০১ টাকা ৫৮ পয়সা

পরিস্থিতির আঁচ করে ডিলাররাও কেরোসিনের মজুত রাখার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। এই ভাবে চলতে থাকলে সমাজের একটা বড় অংশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে এবং বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে, আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।